Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
শ্যামা- দ্বিতীয় দৃশ্য, ৪
শ্যামা
অকারণ॥
সখীরা। হতাশ হোয়ো না, হোয়ো না, হোয়ো না সখা।
নিজেরে ভুলায়ে লোয়ো না, লোয়ো না
আঁধার গুহার তলে॥
উত্তীয়। চমকিবে ফাগুনের পবনে,
পশিবে আকাশবাণী শ্রবণে,
চিত্ত আকুল হবে অনুখন
অকারণ।
দূর হতে আমি তারে সাধিব,
গোপনে বিরহডোরে বাঁধিব–
বাঁধনবিহীন সেই যে বাঁধন
অকারণ॥ স্বরলিপি [1]
সখীরা। হবে সখা, হবে তব হবে জয়–
নাহি ভয়, নাহি ভয়, নাহি ভয়।
হে প্রেমিক তাপস, নিঃশেষে আত্ম-আহুতি
ফলিবে চরম ফলে॥ স্বরলিপি [2]
সখীরা। হতাশ হোয়ো না, হোয়ো না, হোয়ো না সখা।
নিজেরে ভুলায়ে লোয়ো না, লোয়ো না
আঁধার গুহার তলে॥
উত্তীয়। চমকিবে ফাগুনের পবনে,
পশিবে আকাশবাণী শ্রবণে,
চিত্ত আকুল হবে অনুখন
অকারণ।
দূর হতে আমি তারে সাধিব,
গোপনে বিরহডোরে বাঁধিব–
বাঁধনবিহীন সেই যে বাঁধন
অকারণ॥ স্বরলিপি [1]
সখীরা। হবে সখা, হবে তব হবে জয়–
নাহি ভয়, নাহি ভয়, নাহি ভয়।
হে প্রেমিক তাপস, নিঃশেষে আত্ম-আহুতি
ফলিবে চরম ফলে॥ স্বরলিপি [2]
প্রস্থান
সখীসহ শ্যামার প্রবেশ
সখী। জীবনে পরম লগন কোরো না হেলা,
কোরো না হেলা হে গরবিনী।
বৃথাই কাটিবে বেলা, সাঙ্গ হবে যে খেলা–
সুধার হাটে ফুরাবে বিকিকিনি
হে
গরবিনী।
মনের মানুষ লুকিয়ে আসে, দাঁড়ায় পাশে, হায়–
হেসে চলে যায় জোয়ারজলে ভাসিয়ে ভেলা।
দুর্লভ ধনে দুঃখের পণে লও গো জিনি
হে গরবিনী।
ফাগুন যখন যাবে গো নিয়ে ফুলের ডালা,
কী দিয়ে তখন গাঁথিবে তোমার বরণমালা
হে বিরহিণী।
Links:
[1] http://rabindra-rachanabali.nltr.org/16053%3Fgaan%3D19_15.xml
[2] http://rabindra-rachanabali.nltr.org/16053%3Fgaan%3D19_16.xml