ওগো বর, ওগো বঁধু,
এই - যে নবীনা বুদ্ধিবিহীনা
এ তব বালিকা বধূ।
তোমার উদার প্রাসাদে একেলা
কত খেলা নিয়ে কাটায় যে বেলা,
তুমি কাছে এলে ভাবে তুমি তার খেলিবার ধন শুধু,
ওগো বর, ওগো বঁধু।
জানে না করিতে সাজ
কেশ বেশ তার হলে একাকার
মনে নাহি মানে লাজ।
দিনে শতবার ভাঙিয়া গড়িয়া
ধুলা দিয়ে ঘর রচনা করিয়া
ভাবে মনে মনে সাধিছে আপন ঘরকরণের কাজ—
জানে না করিতে সাজ।
কহে এরে গুরুজনে,
‘ও যে তোর পতি, ও তোর দেবতা’ —
ভীত হয়ে তাহা শোনে।
কেমন করিয়া পূজিবে তোমায়
কোনোমতে তাহা ভাবিয়া না পায়,
খেলা ফেলি কভু মনে পড়ে তার ‘পালিব পরানপণে
যাহা কহে গুরুজনে’।
বাসকশয়ন-’পরে
তোমার বাহুতে বাঁধা রহিলেও
অচেতন ঘুমভরে।
সাড়া নাহি দেয় তোমার কথায়,
কত শুভখণ বৃথা চলি যায়,
যে হার তাহারে পরালে সে হার কোথায় খসিয়া পড়ে