Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
বাল্মীকিপ্রতিভা - তৃতীয় দৃশ্য , ৯
বাল্মীকিপ্রতিভা
প্রথম দস্যু। হাসিস নে হাসিস নে মিছে,যা যা—
সব আপন কাজে যা যা, যা আপন কাজে।
দ্বিতীয় দস্যু। খুব তোমার লম্বাচওড়া কথা!
নিতান্ত দেখি তোমায় কৃতান্ত ডেকেছে!
তৃতীয় দস্যু। আঃ কাজ কী গোলমালে, না হয় রাজাই সাজালে।
মরবার বেলায় মরবে ওটাই,থাকব ফাঁকতালে।
প্রথম দস্যু। রাম রাম, হরি হরি,ওরা থাকতে আমি মরি!
তেমন তেমন দেখলে, বাবা ঢুকব আড়ালে।
সকলে। ওরে চল্ তবে শিগ্গিরি,
আনি পূজোর সামিগ্গিরি।
কথায় কথায় রাত পোহাল,এমনি কাজের ছিরি।
সব আপন কাজে যা যা, যা আপন কাজে।
দ্বিতীয় দস্যু। খুব তোমার লম্বাচওড়া কথা!
নিতান্ত দেখি তোমায় কৃতান্ত ডেকেছে!
তৃতীয় দস্যু। আঃ কাজ কী গোলমালে, না হয় রাজাই সাজালে।
মরবার বেলায় মরবে ওটাই,থাকব ফাঁকতালে।
প্রথম দস্যু। রাম রাম, হরি হরি,ওরা থাকতে আমি মরি!
তেমন তেমন দেখলে, বাবা ঢুকব আড়ালে।
সকলে। ওরে চল্ তবে শিগ্গিরি,
আনি পূজোর সামিগ্গিরি।
কথায় কথায় রাত পোহাল,এমনি কাজের ছিরি।
[প্রস্থান
হা কী দশা হল আমার!
কোথা গো মা করুণাময়ী,অরণ্যে প্রাণ যায় গো!
মুহূর্তের তরে মা গো,দেখা দাও আমারে—
জনমের মত বিদায়!
কোথা গো মা করুণাময়ী,অরণ্যে প্রাণ যায় গো!
মুহূর্তের তরে মা গো,দেখা দাও আমারে—
জনমের মত বিদায়!
পূজার উপকরণ লইয়া দস্যুগণের প্রবেশ
ও কালী-প্রতিমা ঘিরিয়া নৃত্য
ও কালী-প্রতিমা ঘিরিয়া নৃত্য
এত রঙ্গ শিখেছ কোথা মুণ্ডমালিনী!
তোমার নৃত্য দেখে চিত্ত কাঁপে, চমকে ধরণী।
ক্ষান্ত দে মা,শান্ত হ মা,সন্তানের মিনতি।
রাঙা নয়ন দেখে নয়ন মুদি,ও মা ত্রিনয়নী।
তোমার নৃত্য দেখে চিত্ত কাঁপে, চমকে ধরণী।
ক্ষান্ত দে মা,শান্ত হ মা,সন্তানের মিনতি।
রাঙা নয়ন দেখে নয়ন মুদি,ও মা ত্রিনয়নী।
বাল্মীকির প্রবেশ
বাল্মীকি। অহো আস্পর্ধা এ কী তোদের নরাধম!
তোদের কারেও চাহি নে আর, আর, আর না রে—
দূর দূর দূর,আমারে আর ছুঁস নে।
এ-সব কাজ আর না,এ পাপ আর না,
আর না আর না— ত্রাহি,সব ছাড়িনু!
প্রথম দস্যু। দীন হীন এ অধম আমি কিছুই জানি নে রাজা!
এরাই তো যত বাধালে জঞ্জাল,
এত করে বোঝাই বোঝে না—
তোদের কারেও চাহি নে আর, আর, আর না রে—
দূর দূর দূর,আমারে আর ছুঁস নে।
এ-সব কাজ আর না,এ পাপ আর না,
আর না আর না— ত্রাহি,সব ছাড়িনু!
প্রথম দস্যু। দীন হীন এ অধম আমি কিছুই জানি নে রাজা!
এরাই তো যত বাধালে জঞ্জাল,
এত করে বোঝাই বোঝে না—